1. বীমা কি? কেন প্রয়োজন?


জীবন বীমা একটি চুক্তি, যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে বীমা গ্রাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। এই চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিতে নিয়মিত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন। অর্থাৎ জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাকেই জীবন বীমা বলে।

জীবন বীমার প্রয়োজনীয়তা:

  • জীবন বীমা আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • জীবন বীমা সঞ্চয়ে উৎসাহিত করে।
  • জীবন বীমা বৃদ্ধ বয়সে বা অবসরকালীন খরচ নির্বাহের জন্য নিশ্চয়তা প্রদান করে।
  • মেয়াদোত্তর সম্পূর্ণ বা যথাযথভাবে আংশিক প্রাপ্ত বীমা দাবির টাকা ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্যান্য পারিবারিক প্রয়োজনীয় কাজে বিনিয়োগের মাধ্যমে উপার্জনের পথ প্রসারিত করে।
  • বীমাবৃত উপার্জনক্ষম ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যুতে প্রাপ্য টাকা পরিবারকে আর্থিক দারিদ্র্য থেকে রক্ষা করে।
  • বীমাবৃত উপার্জনক্ষম ব্যক্তির শারীরিক অক্ষমতায় প্রাপ্য টাকা বিকল্প আয়ের ক্ষেত্র হিসেবে গণ্য হয়।
  • বীমাবৃত উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু বা শারীরিক অক্ষমতায় প্রাপ্য টাকা সন্তানদের পড়াশোনার খরচ যোগানোর নিশ্চয়তা দেয়।
  • বীমাবৃত উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু বা শারীরিক অক্ষমতায় প্রাপ্য টাকা সন্তানদের বিবাহের ব্যয় নির্বাহ করার নিশ্চয়তা দেয়।
  • বীমাবৃত উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু বা শারীরিক অক্ষমতায় প্রাপ্য টাকা পরিবারকে সামাজিক অবজ্ঞা থেকে রক্ষা করে।
2. বীমা করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

জীবন বীমার সুবিধাসমূহ:

চুক্তি চলাকালীন তথা মেয়াদপূর্তির পূর্বে যেকোন সময় বীমাগ্রহীতার মৃত্যুতে সম্পূর্ণ চুক্তিকৃত টাকা মনোনীতকে পরিশোধ করা হয়। লাভযুক্ত পলিসির ক্ষেত্রে অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হয়।

দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে বীমা অংকের দ্বিগুণ টাকা পরিশোধ করা হয় (এডিবি/পিডিএফ সুবিধা যুক্ত পলিসির ক্ষেত্রে)।

মেয়াদসূত্রে পর্যন্ত বীমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধযোগ্য (লাভযুক্ত পলিসির ক্ষেত্রে অর্জিত বোনাসসহ)।

দুর্ঘটনাজনিত অঙ্গহানি বা অসুস্থতাজনিত স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে: কোন বীমাকৃত ব্যক্তির দুর্ঘটনাজনিত কারণে অঙ্গহানি বা আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে গেলে আনুপাতিক হারে চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ করা হয়। তাছাড়া মেয়াদের মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত বা অসুস্থতার কারণে স্থায়ীভাবে কার্যঅক্ষম হয়ে গেলে এককালীন চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ করা হয় অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ভাতা হিসেবে পরিশোধ করা হয়।

যেকোনো মেয়াদের পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বর্ষে এক কিস্তি দিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও চুক্তিকৃত সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়।

প্রত্যাশিত মেয়াদি পলিসির ক্ষেত্রে মেয়াদ চলাকালীন প্রাপ্য টাকা (এস.বি/মুনাফা) উত্তোলনের পরও মৃত্যুজনিত সম্পূর্ণ বীমা অংকের ঝুঁকি বহন করে।

শিশু শিক্ষা/নিরাপত্তা/উন্নয়ন বীমার ক্ষেত্রে — গ্রাহকের মৃত্যুতে মাসিক ভাতা প্রদানের পাশাপাশি মেয়াদপূর্তিতে অর্জিত বোনাসসহ সম্পূর্ণ চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ করা হয়।

দুই বা তদূর্ধ্ব বছর পলিসি চালানোর পর আর্থিক প্রয়োজনে সমর্পণ মূল্যের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ঋণ উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে।

গ্রাহকের টাকা আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।

3. বীমা করার ধাপ সমূহ কি কি?

বীমা গ্রহণে আগ্রহী প্রস্তাবক কোম্পানীর প্রদত্ত প্রস্তাবপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দাখিল করবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশাবলীঃ

১। বয়স প্রমাণ (জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট / বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ / ড্রাইভিং লাইসেন্স)
২। মনোনীতক বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র।
৩। বীমাগ্রহীতা ও মনোনীতকের পাসপোর্ট সাইজের ০২ কপি ছবি।
৪। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে:
 ক) স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট (কোম্পানীর নিজ ব্যয়ে)
 খ) ব্যাংক স্টেটমেন্ট / সলভেন্সি সনদ
 গ) টিন সার্টিফিকেট
 ঘ) পাসপোর্টের কপি, আকামা/ ওয়ার্ক পারমিট / হেলথ কার্ড এবং অতিরিক্ত ঘোষণা (প্রবাসীদের ক্ষেত্রে)
৫। বীমা কোম্পানীর যথাযথ কর্মী/কর্মকর্তার গোপনীয় প্রতিবেদন।

প্রস্তাবক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার পর তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক যাচাই-বাছাই করা হবে এবং সঠিক প্রমাণিত হলে অবলিখন সিদ্ধান্ত প্রদান করা হবে।

অবলিখন সিদ্ধান্তের পর গ্রাহক নির্ধারিত গ্রিসিয়াস কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট হিসাব বিভাগে বা কোম্পানীর নির্দিষ্ট ব্যাংক শাখায় জমা দিয়ে জিআর/বি.এস সংগ্রহ করবেন।

গ্রিসিয়াস টাকা জমা হলে প্রতিষ্ঠান থেকে এফ.পি.আর ইস্যু পূর্বক গারেন্টি গ্রহণ করা হয়।

এরপর বীমা দলিল ইস্যু করে এফ.পি.আর সহ বীমাগ্রহীতাকে হস্তান্তর করা হয়।

4. প্রিমিয়াম কি? মোট বীমা অংক কি?

জান ও মালের ঝুঁকি নিরসনের জন্য প্রদেয় ফি বা চাঁদাকে প্রিমিয়াম বলা হয়।

মোট বীমা অংক কী?

আজীবন বিশ্বস্ত প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এ একই ব্যক্তির জীবনের উপর এক বা একাধিক জীবন বীমা পলিসি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে, এক বা একাধিক পলিসির সম্মিলিত যোগফলকে মোট বীমা অংক বলা হয়।

প্রিমিয়ামের হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?

জীবন বীমার প্রিমিয়াম হার সাধারণত অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়। একজন অ্যাকচুয়ারি প্রিমিয়াম নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেন:

মৃত্যুহার (Mortality Rate)

সুদের হার

বিনিয়োগকৃত মুনাফার হার

ব্যবস্থাপনা ব্যয়

উক্ত উপাদানগুলোর ভিত্তিতে তিনি বয়স অনুযায়ী প্রতি হাজার টাকার জন্য প্রিমিয়াম নির্ধারণ করেন।

বীমা পরিকল্পনা কী?

বীমা পরিকল্পনা হলো অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক প্রণীত এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা-সমৃদ্ধ পরিকল্পনার তালিকা।

লাভজনক / অলাভজনক / টার্ম পরিকল্পনা কী?

লাভজনক পরিকল্পনা
বীমাগ্রহীতার মৃত্যুতে অথবা মেয়াদ পূর্তিতে (যদি তিনি জীবিত থাকেন) চুক্তি অনুযায়ী অর্জিত বোনাসসহ বীমা অংক প্রদান করা হয়।

অলাভজনক পরিকল্পনা
বীমাগ্রহীতার মৃত্যুতে অথবা মেয়াদ পূর্তিতে (যদি তিনি জীবিত থাকেন) শুধুমাত্র বীমা অংকের টাকা প্রদান করা হয়; এতে কোনো বোনাস বা লভ্যাংশ থাকে না।

টার্ম পরিকল্পনা (সাময়িক বীমা পরিকল্পনা)
এই পরিকল্পনায়, বীমা চলাকালীন গ্রাহকের মৃত্যু হলে মনোনীত ব্যক্তি বীমা অংক পেয়ে থাকেন। তবে মেয়াদ পূর্তিতে কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। সাধারণত এই বীমার মেয়াদ ১ বছর হয়ে থাকে।

5. বীমা চুক্তি কি?

বীমাকারী ও বীমা গ্রহীতার মধ্যে Utmost Good Faith এবং Insurable Interest-এর ভিত্তিতে সম্পাদিত চুক্তিকেই বীমা চুক্তি বলা হয়। এইরূপ চুক্তি আইন দ্বারা সমর্থিত এবং বৈধ। এই চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদ পর্যন্ত একটি নির্ধারিত হারে বীমা গ্রহীতা প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন। অন্যদিকে, বীমাকারী প্রিমিয়াম পেয়ে অঙ্গীকার করেন যে, বীমা গ্রহীতার জীবন বা বীমাকৃত সম্পদ দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তার ক্ষতিপূরণ বা বীমা দাবির অর্থ পরিশোধ করবেন।

বীমা গ্রহীতার পক্ষ থেকে প্রিমিয়াম পরিশোধ হচ্ছে consideration এবং বীমাকারীর পক্ষ থেকে বীমা দাবির অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারটিও consideration হিসেবেই বিবেচিত হয়।

বীমা চুক্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

Life Insurance Contract (জীবন বীমা চুক্তি)

Non-life Insurance Contract (অজীবন বা সাধারণ বীমা চুক্তি)

Life Insurance Contract সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়, যা পলিসির শর্ত অনুযায়ী মেয়াদপূর্তি, মৃত্যু বা মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকে।
অন্যদিকে, Non-life Insurance Contract সাধারণত এক বছরের জন্য কার্যকর থাকে। এই ক্ষেত্রে, বীমা পলিসিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে কবে এটি শেষ হবে।

বীমা সম্পর্কিত সকল দায়-দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বীমা চুক্তির সমাপ্তি ঘটে।

অন্যভাবে বলা যায়, বীমা চুক্তি হচ্ছে একটি এমন চুক্তি যার আলোকে এক পক্ষ নির্দিষ্ট হারে ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রিমিয়াম প্রদান করে এবং অপর পক্ষ সম্ভাব্য দুর্ঘটনা বা ক্ষতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের অঙ্গীকার করে। যদি মেয়াদ শেষে কোনো ক্ষতি না হয়, তাহলে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রিমিয়ামের অর্থ বা তার লাভসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে।

6. প্রিমিয়ামের হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?

প্রিমিয়াম কী:


জীবন ও মালের ঝুঁকি নিরসনকল্পে প্রদেয় ফি বা চাঁদাকে প্রিমিয়াম বলা হয়।

 

মোট বীমা অংক কী:


একই ব্যক্তির জীবনের উপর এক বা একাধিক জীবন বীমা পলিসি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এক বা একাধিক পলিসির সমষ্টিগত যোগফলকে মোট বীমা অংক বলে।

 

প্রিমিয়ামের হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়:


জীবন বীমার প্রিমিয়ামের হার সাধারণত অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়। একজন অ্যাকচুয়ারি জীবন বীমার প্রিমিয়াম হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মর্টালিটি রেট, সুদের হার, বিনিয়োগকৃত মুনাফার হার এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় বিবেচনা করে বয়স অনুযায়ী প্রতি হাজার টাকার জন্য প্রিমিয়াম নির্ধারণ করে থাকেন।

 

বীমা পরিকল্প কী:


অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক প্রণীত এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সুবিধাসম্পন্ন বীমার তালিকাকেই বীমা পরিকল্প বলা হয়।

 

লাভজনক/অলাভজনক/টার্ম পরিকল্পনা কী:

 

লাভজনক পরিকল্পনা:


বীমা গ্রাহকের মৃত্যুতে অথবা মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত গ্রাহক বেঁচে থাকলে চুক্তি অনুযায়ী অর্জিত বোনাসসহ বীমা অংক পরিশোধ করা হয়।

 

অলাভজনক পরিকল্পনা:


বীমা গ্রাহকের মৃত্যুতে অথবা মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত বেঁচে থাকলে চুক্তি অনুযায়ী বীমাকারী বীমা গ্রাহককে বীমা অংকের টাকা প্রদান করে, কোন বোনাস বা লভ্যাংশ প্রদান করা হয় না।

 

টার্ম পরিকল্পনা:


সাময়িক বীমা পরিকল্পনা যেখানে গ্রাহকের মৃত্যুতে তার নামজারিকে বীমা অংক প্রদান করা হয়। মেয়াদ পূর্তিতে কোন প্রকার দাবি পরিশোধ করা হয় না। সাময়িক বীমার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর হয়ে থাকে।

7. বীমা চুক্তি করতে হলে কি কি তথ্য এবং কাগজ পত্র দিতে হয়?

বীমা চুক্তি করতে হলে বীমা গ্রাহককে কী কী তথ্য ও কাগজপত্র দিতে হয়?

বীমা চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্রঃ

ক) কোম্পানি কর্তৃক মুদ্রিত প্রস্তাবপত্রে নিম্নোক্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হয়:

প্রস্তাবকের নাম

পিতা-মাতার নাম

মনোনীত ব্যক্তির নাম

ঠিকানা

বয়স

পেশা

বার্ষিক আয় ও আয়ের উৎস

ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন: শারীরিক ওজন, উচ্চতা, বুক ও কোমরের মাপ ইত্যাদি)

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ও রোগের ইতিহাস

পারিবারিক ইতিহাস (যেমন: পিতা-মাতা, ভাই-বোন, সন্তান ও সহধর্মিনীর বয়স ও স্বাস্থ্যগত তথ্য)

মহিলা প্রস্তাবকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তথ্য

বীমার অংক, বীমা পরিকল্পনা

প্রিমিয়াম পরিশোধ পদ্ধতি

পলিসি গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য

খ) প্রস্তাবকের বয়স প্রমাণপত্র (যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ)

গ) বীমা গ্রহীতা ও মনোনীত ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের ছবি

ঘ) প্রয়োজনে নিম্নোক্ত অতিরিক্ত কাগজপত্র:

১.১) স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, যেমন:

FSR

PUR

Chest X-ray

ECG

CBC (Complete Blood Count)

FBS (Fasting Blood Sugar)

GTT (Glucose Tolerance Test)

S. Creatinine

S. Bilirubin

LFT (Liver Function Test)

HIV Test

১.২) ব্যাংক স্টেটমেন্ট / Solvency Certificate

১.৩) TIN সার্টিফিকেট

১.৪) পাসপোর্টের কপি, আকামা / ওয়ার্ক পারমিট / হেলথ কার্ড ও অতিরিক্ত ঘোষণা (প্রবাসীদের ক্ষেত্রে)

১.৫) বার্ষিক আয়ের বিবরণী

১.৬) পেশাগত প্রমাণপত্র

8. বীমা গ্রাহককে কি কি বিষয় যাচাই করতে হয়?

বীমা গ্রাহককে কী কী বিষয় যাচাই করতে হয়;

* বীমা গ্রাহকের আয়ের সাথে সামজ্ঞস্য রেখে পলিসি ক্রয় করা ।
* নিজের চাহিদা অনুয়ায়ী পরিকল্প ক্রয় করা। যেযন শিশুর নিরাপতার জন্য শিক্ষা বৃতি, বৃদ্ধ বয়সে ভবিষ্যৎ আর্থিক সুবিয়ার জন্য পেনশন পলিসি ইত্যাদি।
বীযাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে চুক্তি যোতাবেক সুবিয়া পাওয়া যাবে কিনা তা যাচাই করা।
গ্রিষিয়ায় চালানোর সক্ষমতার উপর বীষা অংক ও যেয়াদ নির্ধারণ করা।
যাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজে যাচাই করে গলিসি গ্রহন করা।
প্রিষিয়াষ কেন বিনিয়োগ করা হয়;
* বীমা গ্রহীতা বা গ্রাহকের সকল প্রকার দাবী পরিশোধের জন্য।
* গ্রাহককে প্রত্যাশিত সুবিধা এবং বোনাস প্রদানের জন্য।
গ্রাহকদের অধিক মুনাফা বা লভ্যাংশ প্রদানের জন্য।
* গ্রাহকদের সেবা প্রদানের নিষিতে ব্যয়কৃত ব্যবস্থাপনা খরচ এর জন্য গ্রাহকের মূল গ্রিযিয়াষ সুরক্ষিত ও ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য । * বীমা কোম্পানীর আর্থিক ঝুঁকি হ্রাসের জন্য।
 

9. প্রিমিয়াম কেন বিনিয়োগ করা হয়?

বীমা গ্রাহককে কী কী বিষয় যাচাই করতে হয়:

বীমা গ্রাহকের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পলিসি ক্রয় করা উচিত।

নিজের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা নির্বাচন করা। যেমন:

শিশুর নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা বৃত্তি পলিসি

বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য পেনশন পলিসি ইত্যাদি

বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা তা যাচাই করা।

প্রিমিয়াম চালানোর সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বীমার অংক ও মেয়াদ নির্ধারণ করা।

কোন স্তরের কর্মীর কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজের বিবেচনায় পলিসি গ্রহণ করা।

প্রিমিয়াম কেন বিনিয়োগ করা হয়:

বীমা গ্রহীতা বা গ্রাহকের সকল প্রকার দাবির পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য

গ্রাহককে প্রত্যাশিত সুবিধা এবং বোনাস প্রদান করার জন্য

গ্রাহকদের অধিক মুনাফা বা লভ্যাংশ প্রদানের উদ্দেশ্যে

গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থাপনা খরচ বহনের জন্য

বীমা কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি হ্রাসের জন্য

গ্রাহকের মূল প্রিমিয়াম সুরক্ষিত রাখা এবং ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য

10. এজেন্ট কি? এজেন্টের কাজ কি?

এজেন্ট কী এবং এজেন্টের কাজ কী

এজেন্ট শব্দের অর্থ হলো প্রতিনিধি। কোনো ব্যক্তির পক্ষ হয়ে কাজ করার জন্য সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তিকেই এজেন্ট বা প্রতিনিধি বলা হয়।
১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ধারা ১৮২ অনুযায়ী:

“যে ব্যক্তিকে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিয়োগ করা হয়, সেই ব্যক্তিকে এজেন্ট বা প্রতিনিধি বলা হয়।”

বীমা প্রতিষ্ঠানে যিনি বীমা পলিসি বিপণন বা বিক্রি করেন, তিনিই হলেন এজেন্ট। এজেন্ট মূলত বীমা কোম্পানি ও গ্রাহকের মধ্যে একটি যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে এজেন্টকে FA (Financial Associate) নামে অভিহিত করা হয়।

জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে এজেন্টের কাজসমূহ:

এজেন্টের প্রধান কাজ হলো বীমা পলিসি বিপণন বা বিক্রয় করা।

গ্রাহক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা।

ক্ষেত্র পর্যায়ে বীমা কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করা।

কোম্পানির প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখা।

সাধারণ মানুষের কাছে বীমার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

মানুষকে বীমা সম্পর্কে সচেতন করা।

পলিসি গ্রহণের পূর্বে গ্রাহককে বীমার সুবিধা ও শর্তাবলী সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া।

গ্রাহকের বয়স, আয় ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে উপযুক্ত পলিসি নির্বাচনে সহায়তা করা।

গ্রাহকের সকল ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রস্তাবপত্রে বা প্রয়োজনীয় নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা।

বীমা পলিসি সম্পন্ন হলে গ্রাহককে পলিসি দলিল, রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা।

বীমার কিস্তি পরিশোধের পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রাহককে অবহিত করা।

ডেফার্ড বা নবায়ন প্রিমিয়াম সময়মতো পরিশোধের জন্য গ্রাহককে স্মরণ করিয়ে দেওয়া ও সহায়তা করা।

বীমা পলিসি সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা।

গ্রাহকের প্রত্যাশিত সুবিধা ও মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি পরিশোধে সহায়তা করা।

গ্রাহকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে মনোনীত ব্যক্তি যেন মৃত্যুদাবি পেতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করা।

কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে বীমার সুবিধা এবং কোম্পানির সুনাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা।

11. বীমাকারী কিভাবে বীমা দাবী পরিশোধ করে?

বীমাকারী কিভাবে বীমা দাবী পরিশোধ করে

বীমাকারী বিভিন্ন ধরণের দাবী পরিশোধ করে থাকে। যেমনঃ

ক) সারভাইভাল বেনিফিটঃ
যেসব পলিসিতে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদানযোগ্য, সেক্ষেত্রে বীমাগ্রহীতার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে টাকা পরিশোধ করা হয়।
এই দাবীর জন্য বীমাগ্রহীতাকে নিম্নোক্ত কাগজপত্র দাখিল করতে হয়:

বীমা দলিল

(বয়স প্রমাণিত না থাকলে) বয়সের প্রমাণ

কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত নির্বাহী রসিদ (ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ) পূরণ করে জমা দিতে হয়।

খ) মেয়াদোত্তীর্ণ দাবীঃ
পলিসির মেয়াদ শেষে বীমার অর্থ বীমাগ্রহীতার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পরিশোধ করা হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

বীমা দলিল

(যদি বয়স প্রমাণিত না থাকে) বয়সের প্রমাণ

নির্বাহী রসিদ (ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ) পূরণ করে জমা দিতে হয়।

গ) মৃত্যুদাবীঃ
বীমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর মনোনীত ব্যক্তি মৃত্যুদাবীর জন্য আবেদন করলে, কোম্পানি নিচের কাগজপত্র দাবী করে চিঠি ইস্যু করে।

১. স্বাভাবিক/অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

মনোনীত ব্যক্তির আবেদন

পূর্ণাঙ্গ ও স্বাক্ষরিত মৃত্যুদাবী ফর্ম

রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রদত্ত মৃত্যুসনদ (মূল কপি)

চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র (ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, রিপোর্ট, হাসপাতাল ছাড়পত্র ইত্যাদি)

পৌরসভা/ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মৃত্যুসনদ (মূল কপি)

মূল এফপিআর এবং বীমা দলিল

বীমাগ্রহীতার জন্মতারিখের প্রমাণ (এসএসসি সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট - সত্যায়িত কপি)

মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি

প্রিমিয়াম প্রদানের রশিদের কপি

২. প্রবাসে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজপত্রঃ

বিদেশি পুলিশের ভেরিফিকেশন রিপোর্ট

বিদেশি কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতালের মৃত্যুসনদ

মৃতের মূল পাসপোর্ট

No Objection Certificate (NOC)

কবরস্থানের কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত সার্টিফিকেট (প্রবাসে দাফনের ক্ষেত্রে)

মৃতদেহ হস্তান্তরের দলিল

বিমান খরচের বিল (Airway Bill)

৩. দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজপত্রঃ

জেনারেল ডায়েরি, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, এফআইআর, কেমিক্যাল রিপোর্ট

স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সনদ (যদি পোস্ট মর্টেম না করা হয়)

পত্রিকার কাটিং (যদি দুর্ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়)

৪. উত্তরাধিকার সনদের প্রয়োজন হয় যদিঃ

বীমাগ্রহীতার মৃত্যু পর মনোনীত ব্যক্তি জীবিত না থাকেন

মনোনীত ব্যক্তির বীমার প্রতি বৈধ স্বার্থ না থাকে

বি.দ্র. যদি বীমাগ্রহীতা নিখোঁজ হন, তবে নিখোঁজের ৭ বছর পর দাবি করা যাবে, যার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার জিডি এবং আদালতের মৃত্যুর আদেশ প্রয়োজন।

উপরোক্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দাবি সঠিক হলে দাবীকৃত অর্থ অনুমোদনের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্টে পরিশোধ করা হয়।
যদি অসামঞ্জস্য থাকে, তাহলে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং দাবি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

ঘ) GAV দাবি (দুর্ঘটনাজনিত আংশিক স্থায়ী পঙ্গুত্ব):
দুর্ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে শরীরের কোনো অঙ্গ স্থায়ীভাবে অকার্যকর হলে, নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী অনুপাতিক হারে অর্থ প্রদান করা হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১. চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র
২. এক্স-রে প্লেট ও রিপোর্ট
৩. সিভিল সার্জনের পঙ্গুত্ব সনদ
৪. (প্রয়োজনে) দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন
৫. ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গের রঙিন ছবি
৬. বীমা দলিল

সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক প্রমাণিত হলে দাবী কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়।
অপমান্য দাবির ক্ষেত্রে, সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে বীমাগ্রহীতাকে জানানো হয়।

ঙ) HI দাবী (হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ):
অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে, চুক্তি অনুযায়ী দাবীকৃত অর্থ পরিশোধ করা হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১. আবেদনপত্র
২. চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কাগজপত্র
৩. খরচ ও বিলের প্রমাণাদি
৪. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশপত্র

যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনে তদন্তের মাধ্যমে সঠিক প্রমাণিত হলে দাবী কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়।
যদি দাবী পরিশোধযোগ্য না হয়, তবে যথাযথ কারণ উল্লেখ করে বীমাগ্রহীতাকে জানানো হয়।

12. বীমাকারী কখন গ্রাহককে বীমাদাবীর সাথে বোনাস প্রদান করে?

বীমাকারী কখন গ্রাহককে বীমা দাবির সাথে বোনাস প্রদান করে?

মেয়াদোত্তর দাবি ও মৃত্যুদাবি পরিশোধের সময়, বোনাস প্রদান করা হয়।


তামাদি পলিসি কী এবং কেন পলিসি তামাদি হয়?


তামাদি পলিসি:


জীবন বীমা পলিসির শর্তানুযায়ী, প্রিমিয়াম প্রদানের নির্ধারিত তারিখ অতিবাহিত হলেও, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রিমিয়াম প্রদান করলে পলিসিটি সচল রাখা যায়। এই ৩০ দিনকে অনুগ্রহকাল বলা হয়।
কিন্তু, পলিসি শুরুর পর ২ বছরের মধ্যে যদি প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই পলিসি তামাদি (Lapsed) হিসেবে গণ্য হবে।

পলিসি তামাদি হওয়ার কারণসমূহ:
(ক) ব্যবসায়িক লোকসান, স্বাভাবিক আয় হ্রাস, আর্থিক অনটন, চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে গেলে অনেক সময় বীমা গ্রাহক তার পলিসি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
(খ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে আয় প্রায়ই না বাড়লে অনেক সময় পলিসির প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে পড়ে।
(গ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে, ফসল ও সম্পদহানি ঘটায়—এতে মানুষের উপার্জনে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে। ফলে বীমা গ্রাহকের পলিসি তামাদি হয়।
(ঘ) অনেক সময় বীমা এজেন্ট পলিসি বিক্রয়ের পর গ্রাহকের সাথে আর নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না, যা পলিসি তামাদি হওয়ার একটি কারণ।
(ঙ) প্রস্তাবকের আর্থিক সক্ষমতার সাথে সঙ্গতি রেখে পলিসি বিক্রয় করা না হলে, অর্থাৎ ওভার সেল বা আন্ডার সেল হলে পলিসি তামাদি হয়।
(চ) এজেন্ট গ্রাহককে পলিসি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না দিয়ে বা ভুল তথ্য পরিবেশন করে পলিসি বিক্রয় করলে পলিসি তামাদি হয়।
(ছ) গ্রাহক সেবায় অসন্তুষ্ট হয়ে অনেক সময় গ্রাহক পলিসিটি চালাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
(জ) বীমা পলিসির মেয়াদ দীর্ঘ হলে বীমা গ্রাহক অনেক সময় পলিসিটি চালিয়ে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, ফলে পলিসি তামাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

13. তামাদি পলিসি কী এবং কেন পলিসি তামাদি হয়?

বীমাকারী কখন গ্রাহককে বীমা দাবির সাথে বোনাস প্রদান করে?

মেয়াদোত্তর দাবি ও মৃত্যুদাবি পরিশোধের সময়, বোনাস প্রদান করা হয়।


তামাদি পলিসি কী এবং কেন পলিসি তামাদি হয়?


তামাদি পলিসি:


জীবন বীমা পলিসির শর্তানুযায়ী, প্রিমিয়াম প্রদানের নির্ধারিত তারিখ অতিবাহিত হলেও, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রিমিয়াম প্রদান করলে পলিসিটি সচল রাখা যায়। এই ৩০ দিনকে অনুগ্রহকাল বলা হয়।
কিন্তু, পলিসি শুরুর পর ২ বছরের মধ্যে যদি প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই পলিসি তামাদি (Lapsed) হিসেবে গণ্য হবে।

পলিসি তামাদি হওয়ার কারণসমূহ:
(ক) ব্যবসায়িক লোকসান, স্বাভাবিক আয় হ্রাস, আর্থিক অনটন, চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে গেলে অনেক সময় বীমা গ্রাহক তার পলিসি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
(খ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে আয় প্রায়ই না বাড়লে অনেক সময় পলিসির প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে পড়ে।
(গ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে, ফসল ও সম্পদহানি ঘটায়—এতে মানুষের উপার্জনে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে। ফলে বীমা গ্রাহকের পলিসি তামাদি হয়।
(ঘ) অনেক সময় বীমা এজেন্ট পলিসি বিক্রয়ের পর গ্রাহকের সাথে আর নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না, যা পলিসি তামাদি হওয়ার একটি কারণ।
(ঙ) প্রস্তাবকের আর্থিক সক্ষমতার সাথে সঙ্গতি রেখে পলিসি বিক্রয় করা না হলে, অর্থাৎ ওভার সেল বা আন্ডার সেল হলে পলিসি তামাদি হয়।
(চ) এজেন্ট গ্রাহককে পলিসি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না দিয়ে বা ভুল তথ্য পরিবেশন করে পলিসি বিক্রয় করলে পলিসি তামাদি হয়।
(ছ) গ্রাহক সেবায় অসন্তুষ্ট হয়ে অনেক সময় গ্রাহক পলিসিটি চালাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
(জ) বীমা পলিসির মেয়াদ দীর্ঘ হলে বীমা গ্রাহক অনেক সময় পলিসিটি চালিয়ে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, ফলে পলিসি তামাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

14. পলিসি তামাদি হলে গ্রাহকের কী ক্ষতি?

পলিসি তামাদি হলে বীমা গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তামাদি পলিসির অধীনে কোন প্রকার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

 

 

সারভাইভাল বেনিফিট এবং পেইভ-আপ পলিসি কী:

 

সারভাইভাল বেনিফিট: যাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বীমার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়, তাকে প্রত্যাশিত সুবিধা বা আংশিক মেয়াদপূর্তি সুবিধা বলা হয়।

পেইভ-আপ: দুই বা তদূর্ধ্ব বছরের প্রিমিয়াম প্রদান করার পর বীমা গ্রাহক যদি আর কোন প্রিমিয়াম প্রদান না করে তবে পলিসি ল্যাপ্স বা তামাদি হয়ে যায়।

রিইন্স্যুরেন্স কী এবং এর সুবিধা কী:

রি-ইন্স্যুরেন্স হলো অতিরিক্ত বীমা সংখ্যকের ঝুঁকি বণ্টনের জন্য অন্য একটি কোম্পানীতে স্থানান্তর করা। ঝুঁকি হস্তান্তরকারী কোম্পানিকে বলা হয় সেভিং (Ceding) কোম্পানি, এবং ঝুঁকি গ্রহণকারী কোম্পানিকে বলা হয় পুনঃবীমা (Re-Insurance) কোম্পানি।

সুবিধাসমূহ:

বীমা ব্যবসার পরিধি প্রসারিত হয়।

ঝুঁকি হ্রাস করে।

নখ সীলাবদ্ধ থাকে।

বীমাকারীর ইমেজ বৃদ্ধি করে।

লাইফ ফান্ড নিরাপদ রাখে।

দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

15. সারভাইভাল বেনিফিট এবং পেইডআপ পলিসি কী?

পলিসি তামাদি হলে বীমা গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তামাদি পলিসির অধীনে কোন প্রকার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

 

 

সারভাইভাল বেনিফিট এবং পেইভ-আপ পলিসি কী:

 

সারভাইভাল বেনিফিট: যাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বীমার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়, তাকে প্রত্যাশিত সুবিধা বা আংশিক মেয়াদপূর্তি সুবিধা বলা হয়।

পেইভ-আপ: দুই বা তদূর্ধ্ব বছরের প্রিমিয়াম প্রদান করার পর বীমা গ্রাহক যদি আর কোন প্রিমিয়াম প্রদান না করে তবে পলিসি ল্যাপ্স বা তামাদি হয়ে যায়।

রিইন্স্যুরেন্স কী এবং এর সুবিধা কী:

রি-ইন্স্যুরেন্স হলো অতিরিক্ত বীমা সংখ্যকের ঝুঁকি বণ্টনের জন্য অন্য একটি কোম্পানীতে স্থানান্তর করা। ঝুঁকি হস্তান্তরকারী কোম্পানিকে বলা হয় সেভিং (Ceding) কোম্পানি, এবং ঝুঁকি গ্রহণকারী কোম্পানিকে বলা হয় পুনঃবীমা (Re-Insurance) কোম্পানি।

সুবিধাসমূহ:

বীমা ব্যবসার পরিধি প্রসারিত হয়।

ঝুঁকি হ্রাস করে।

নখ সীলাবদ্ধ থাকে।

বীমাকারীর ইমেজ বৃদ্ধি করে।

লাইফ ফান্ড নিরাপদ রাখে।

দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

16. রিইন্স্যুরেন্স কী এবং এর সুবিধা কী?

 

রিইন্স্যুরেন্স কী এবং এর সুবিধাসমূহ:

রি-ইন্স্যুরেন্স:
অতিরিক্ত বীমার ঝুঁকি গ্রহণের অংশ অন্য একটি কোম্পানিতে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে রিইন্স্যুরেন্স বলা হয়। ঝুঁকি হস্তান্তরকারী কোম্পানিকে বলা হয় সেভিং (Ceding) কোম্পানি, আর ঝুঁকি গ্রহণকারী কোম্পানিকে বলা হয় পুনঃবীমা (Re-Insurance) কোম্পানি।

সুবিধাসমূহ:

বীমা ব্যবসার পরিধি প্রসারিত হয়।

ঝুঁকি হ্রাস পায়।

দায় সীমাবদ্ধ থাকে।

বীমাকারীর ইমেজ বৃদ্ধি পায়।

লাইফ ফান্ড নিরাপদ থাকে।

নতুন বীমাকারীদের উৎসাহিত করে।

দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

17. বীমা দাবী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়:

পলিসি ইস্যুর পর চুক্তির শর্তানুযায়ী বীমাগ্রহীতার মৃত্যু, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, পলিসির মেয়াদপূর্তি অথবা আংশিক মেয়াদপূর্তিতে বীমাদারী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কী কী করতে হয়:

যেকোনো বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই মূল বীমা দলিল এবং বয়স প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তবে প্রত্যাশিত সুবিধা (Survival Benefit - SB) ক্ষেত্রে দলিলে এন্ডোরসমেন্ট (Endorsement) করার পর মূল দলিল বীমাগ্রাহককে ফেরত প্রদান করা হয়। কিন্তু মৃত্যুদাবীর ক্ষেত্রে আবেদনপত্র, মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা বীমাকারী কিভাবে বীমাদান পরিশোধ করে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকে।

ন্যায্য বীমা দাবি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে বীমাকারী কী হারে সুদসহ দাবি পরিশোধ করবে:

বীমা গ্রাহকের ২০১০ সালের আইন নম্বর ০১ এর উপধারা ০১ অনুযায়ী, সুদ ব্যর্থতা জনিত চলমান সময়ের জন্য পরিশোধযোগ্য হবে এবং প্রচলিত ব্যাংক রেটের অতিরিক্ত মাসিক শতকরা ৫% হারে মাসিক সুদ হিসাব করে পরিশোধ করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য কোথায় কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন:

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য সর্বপ্রথম কোম্পানির দাবি বিভাগে অভিযোগ দাখিল করবেন। যদি ব্যর্থতা ঘটে, তাহলে সর্বোচ্চ উচ্চতর কর্তৃপক্ষ (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি গ্রাহকের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করে, তবে গ্রাহক সর্বশেষ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে পারবেন।

বীমাকারীকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত প্রত্যেক পলিসি/পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে:

জীবন সাথী (বোনাসসহ):
এটি একটি আকর্ষণীয় সঞ্চয়ী বীমা পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনায় ৫ বছর পর থেকে প্রতিবছর বীমা অঙ্কের ১০% হারে বীমাবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট বীমা অঙ্ক বোনাসসহ প্রদান করা হয়। পলিসি চলমান থাকাকালীন গ্রাহকের যেকোনো সময় মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীকে পুরো বীমা অঙ্ক বোনাসসহ (যদি থাকে) প্রদান করা হয়।

18. বীমা দাবী প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কী কী করতে হয়?

বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়:

পলিসি ইস্যুর পর চুক্তির শর্তানুযায়ী বীমাগ্রহীতার মৃত্যু, দুর্ঘটনা, প্রসূতি, পলিসির মেয়াদপূর্তি অথবা আংশিক মেয়াদপূর্তিতে বীমাদারী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কী কী করতে হয়:

যেকোনো বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই মূল বীমা দলিল এবং বয়স প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তবে প্রত্যাশিত সুবিধার (Survival Benefit - SB) ক্ষেত্রে দলিলে এন্ডোরসমেন্ট (Endorsement) করার পর মূল দলিল বীমাগ্রাহককে ফেরত প্রদান করা হয়। কিন্তু মৃত্যুদাবীর ক্ষেত্রে আবেদনপত্র, মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যা পূর্বে বীমাকারী কিভাবে বীমাদান পরিশোধ করে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকে।

ন্যায্য বীমা দাবি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে বীমাকারী কী হারে সুদসহ দাবি পরিশোধ করবে:

বীমা আইনের ২০১০ সালের ৭১ নং ধারার উপধারা ০২ অনুযায়ী, সুদ ব্যর্থতা জনিত চলমান সময়ের জন্য পরিশোধযোগ্য হবে এবং প্রচলিত ব্যাংক রেটের অতিরিক্ত মাসিক শতকরা ৫% হারে মাসিক সুদ হিসাব করে পরিশোধ করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য কোথায় কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন:

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য সর্বপ্রথম কোম্পানির দাবি বিভাগে অভিযোগ দাখিল করবেন। যদি ব্যর্থতা ঘটে, তাহলে সর্বোচ্চ উচ্চতর কর্তৃপক্ষ (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি গ্রাহকের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করে, তবে গ্রাহক সর্বশেষ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে পারবেন।

বীমাকারীকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত প্রত্যেক পলিসি/পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে:

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কয়েকটি লাভজনক ও আকর্ষণীয় পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ:

জীবন সাথী (বোনাসসহ):
এটি একটি আকর্ষণীয় সঞ্চয়ী বীমা পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় যেসব পলিসি পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর বীমা অঙ্কের ১০% হারে বীমাবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট বীমা অঙ্ক বোনাসসহ প্রদান করা হয়। পলিসি চালু থাকা অবস্থায় যেকোনো সময় গ্রাহকের মৃত্যু হলে তার নমিনিকে পুরো বীমা অঙ্ক বোনাসসহ (যদি থাকে) প্রদান করা হয়।

19. ন্যায্য দাবী পরিশোধে বিলম্ব হলে সুদসহ পরিশোধ?

বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়:

পলিসি ইস্যুর পর চুক্তির শর্তানুযায়ী বীমাগ্রহীতার মৃত্যু, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, পলিসির মেয়াদপূর্তি অথবা আংশিক মেয়াদপূর্তিতে বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কী কী করতে হয়:

যেকোনো বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই মূল বীমা দলিল ও বয়স প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। তবে প্রত্যাশিত সুবিধার (SB) ক্ষেত্রে দলিলে এন্ডোর্সমেন্ট করার পর মূল দলিল বীমাগ্রাহককে ফেরত প্রদান করা হয়। কিন্তু মৃত্যুদাবির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র ও মৃত্যু সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হয়, যার বিস্তারিত নির্দেশনা পূর্বেই বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত থাকে।

ন্যায্য বীমা দাবি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে বীমাকারী কী হারে সুদসহ দাবি পরিশোধ করবে:

বীমা আইনের ২০১০ সালের ১ নং ধারার উপধারা ০১ অনুযায়ী, সুদ ব্যর্থতা জনিত চলমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং প্রচলিত ব্যাংক রেটের অতিরিক্ত মাসিক শতকরা ৫% হারে সুদসহ হিসাব করে দাবি পরিশোধ করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য কোথায় কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন:

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রথমে কোম্পানির দাবি বিভাগে অভিযোগ করবেন। ব্যর্থ হলে, সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দাখিল করবেন।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি গ্রাহকের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করে, তবে গ্রাহক সর্বশেষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (IDRA) বরাবর আবেদন করতে পারবেন।

বীমাকারীকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত প্রত্যেক পলিসি/পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে:

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর কয়েকটি লাভজনক ও আকর্ষণীয় পরিকল্পের সুবিধাসমূহ:

জীবন সাথী (বোনাসসহ):
এটি একটি আকর্ষণীয় সঞ্চয়ী বীমা পরিকল্প। এই পরিকল্পনায়, পলিসি ইস্যুর ৬ বছর পর থেকে প্রতি বছর বীমা অঙ্কের ১০% হারে বীমাবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট বীমা অঙ্ক বোনাসসহ প্রদান করা হয়।
পলিসি চালু থাকা অবস্থায় মেয়াদপূর্তির আগেই গ্রাহকের মৃত্যু হলে, তার নমিনিকে পুরো বীমা অঙ্ক অর্জিত বোনাসসহ (যদি থাকে) প্রদান করা হয়।

20. ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক কোথায় অভিযোগ দাখিল করবে?

বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়:

পলিসি ইস্যুর পর চুক্তির শর্তানুযায়ী বীমাগ্রহীতার মৃত্যু, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, পলিসির মেয়াদপূর্তি অথবা আংশিক মেয়াদপূর্তিতে বীমা দাবি প্রাপ্তির আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কী কী করতে হয়:

যেকোনো বীমা দাবি প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই মূল বীমা দলিল ও বয়স প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। তবে প্রত্যাশিত সুবিধা (SB) দাবির ক্ষেত্রে দলিলে Endorsement করার পর মূল দলিল বীমাগ্রাহককে ফেরত প্রদান করা হয়।
কিন্তু মৃত্যুদাবির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র, মৃত্যু সনদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। এই প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে, তা পূর্বে বীমাকারী কর্তৃক নির্ধারিত নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে।

ন্যায্য বীমা দাবি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে বীমাকারী কী হারে সুদসহ দাবি পরিশোধ করবে:

বীমা আইনের ২০১০ সালের ৭১ নম্বর ধারা, উপধারা ০২ অনুযায়ী, দাবির পরিশোধে বিলম্ব ঘটলে চলমান সময়ের জন্য সুদ প্রযোজ্য হবে এবং প্রচলিত ব্যাংক হারের অতিরিক্ত মাসিক শতকরা ২% হারে সুদসহ মাসিক ভিত্তিতে দাবি পরিশোধ করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য কোথায় কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন:

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রথমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দাবি বিভাগে অভিযোগ করবেন।
প্রয়োজনে, ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে হবে।
যদি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করে, তবে গ্রাহক সর্বশেষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (IDRA) বরাবর আবেদন করতে পারবেন।

বীমাকারীকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত প্রত্যেক পলিসি/পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে:

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর কয়েকটি লাভজনক ও আকর্ষণীয় পরিকল্পের সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ:

জীবন সাথী (বোনাসসহ):
এটি একটি আকর্ষণীয় সঞ্চয়ী বীমা পরিকল্প। এই পরিকল্পনায়, পলিসি ইস্যুর ৫ বছর পর থেকে প্রতি বছর বীমা অঙ্কের ১০% হারে বীমাগ্রহীতাকে প্রদান করা হয় এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট বীমা অঙ্ক বোনাসসহ পরিশোধ করা হয়।
পলিসি চালু থাকা অবস্থায় মেয়াদপূর্তির আগেই গ্রাহকের মৃত্যু হলে, তার নমিনিকে পুরো বীমা অঙ্ক ও অর্জিত বোনাস (যদি থাকে) একত্রে প্রদান করা হয়।

21. বীমা পরিকল্প কী? লাভজনক/অলাভজনক/টার্ম পরিকল্প কী?

প্রিমিয়াম কী?

জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রদেয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থকে প্রিমিয়াম বলা হয়।

মোট বীমা অংক কী?

একই ব্যক্তির জীবনের উপর এক বা একাধিক জীবন বীমা পলিসি থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সকল পলিসির সম্মিলিত বীমা অংকের যোগফলকে মোট বীমা অংক বলা হয়।

প্রিমিয়ামের হার কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

জীবন বীমার প্রিমিয়াম হার সাধারণত অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়।
একজন অ্যাকচুয়ারি প্রিমিয়াম নির্ধারণের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করেন:

মৃত্যুহার (Mortality Rate)

সুদের হার

বিনিয়োগে প্রত্যাশিত মুনাফা

প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা ব্যয়

এই উপাদানগুলোর ভিত্তিতে বয়স অনুসারে প্রতি হাজার টাকার জন্য প্রিমিয়ামের হার নির্ধারণ করা হয়।

বীমা পরিকল্পনা কী?

অ্যাকচুয়ারি কর্তৃক প্রণীত এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (IDRA) কর্তৃক অনুমোদিত, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাসম্বলিত যেসব পরিকল্পনা বীমাগ্রহীতার উদ্দেশ্যে প্রস্তাব করা হয়, সেগুলোকে বীমা পরিকল্পনা বলা হয়।

লাভজনক / অলাভজনক / টার্ম পরিকল্পনা কী?

● লাভজনক পরিকল্পনা:

এই পরিকল্পনায়, বীমাগ্রহীতার মৃত্যু বা পলিসি মেয়াদপূর্তির ক্ষেত্রে অর্জিত বোনাসসহ বীমা অঙ্ক পরিশোধ করা হয়।

● অলাভজনক পরিকল্পনা:

এই পরিকল্পনায়, শুধুমাত্র চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত বীমা অঙ্ক পরিশোধ করা হয় — কোনো বোনাস বা লভ্যাংশ প্রদান করা হয় না

● টার্ম (Term) পরিকল্পনা:

এটি একটি সাময়িক বীমা পরিকল্পনা, যেখানে পলিসির মেয়াদকালে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে বীমা অঙ্ক প্রদান করা হয়।
কিন্তু মেয়াদ শেষ হলে কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না।
টার্ম বীমার সাধারণ মেয়াদ ১ বছর হয়ে থাকে।

22. প্রগতি লাইফের উল্লেখযোগ্য পরিকল্প সমূহ?

আপনার প্রতিষ্ঠানে কী কী বীমা পরিকল্পনা রয়েছে?

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় বীমা পরিকল্পনাসমূহ নিম্নরূপ:

 

জীবন আলো

জীবন বন্ধু

জীবন সঞ্চয় (এককালীন প্রিমিয়াম)

৬ স্তর এন্ডাওমেন্ট বীমা পরিকল্পনা (বোনাসসহ)

সঞ্চয়ী থ্রি ইন ওয়ান (বোনাসসহ)

সঞ্চয়ী থ্রি কিস্তি বীমা (বোনাসসহ)

সঞ্চয়ী সমাহার (বোনাসসহ)

সঞ্চয়ী ফাইভ কিস্তি বীমা (বোনাসসহ)

ইসলামী সঞ্চয়ী বীমা (লাভসহ)

ইসলামী সঞ্চয়ী ফাইভ কিস্তি বীমা (লাভসহ)

জীবন অবকাশ

জীবন বিকাশ